গাইবান্ধায় এমপির স্বাক্ষর জাল করলেন
স্কুলের প্রধান শিক্ষক
গাইবান্ধার (পলাশবাড়ী- সাদুল্যাপুর )
আসনের সংসদ সদস্য ডা: ইউনুস আলীর
সিল- স্বাক্ষর জাল করে দফতরি কাম
প্রহরী পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ
পাওয়া গেছে কেশালীড্ঙ্গাা সরকারী
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত
প্রধান শিক্ষক ধনঞ্জয় কুমার।
এর আগেও বিদ্যালয়ের
পরিচালনা কমিটির সভাপতি আফসার
আলীর সীল স্বাক্ষর জাল করছেন তিনি।
সংশিষ্ট সুত্রে জানা যায়,
কেশালীডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত প্রধান
শিক্ষক ধনঞ্জয় কুমার ১৩ মার্চ
প্রাথীদের পরীক্ষা সম্পন্ন
করে তিনজনকে উত্তীর্ন
দেখিয়ে শিক্ষা অফিসের প্যানেল
তালিকা পাঠান । ১০ এপ্রিল উর্ত্তীন
তিন প্রার্থীর মধ্যে ১ নম্বর
প্রার্থী শফিকুল ইসলামকে নিয়োগ
অনমোদন করেন
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মাদ
আহসান হাবীব । একই দিনে সংসদ সদস্য
ইউনুজ আলীর সীল ও স্বাক্ষর জাল
করে প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য
সুপারিশপত্র তৈরী করেন ভারপ্রাপ্ত
প্রধান শিক্ষক ধনঞ্জয় কুমার
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ধনঞ্জয় কুমার
সহকারী শিক্ষা অফিসার খায়রুল
আলমের যোগসাজশে পরিচালনার
কমিটির সভাপতি আফসার আলী ও অন্য
সদস্যদের সিল ওস্বাক্ষর জাল
করে শফিকুল ইসলামকে নিয়োগ দেন।
পরিচালনা কমিটির সভাপতি আফসার
আলী নতুনবার্তা ডটকমকে জানান ,
দফতরী কাম প্রহরী নিয়োগে সংক্রান্ত
বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের
অবগত না করে প্রধান শিক্ষক এ সব
জালিয়াতি করেন। এ কারনে নিয়োগ
বাতিল ও প্রীতিকার
চেয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসারসহ
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর
লিখিত অভিযোগ পত্র দিয়েছি।
সংসদ সদস্য ডা: ইউনুস আলী
মুঠোফোনে প্রতিনিধিকে জানান,
বিদ্যালয়ে দফতরী কাম প্রহরী নিয়োগ
সংক্রান্ত কোনো কাগজ পত্র
নিয়ে আমার কাছে কেউ আসেনি আর
আমিও স্বাক্ষর করিনি। আমার সিল –
স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া সুপারিশপত্র
তৈরী করা হয়েছে।
জালিয়াতী সঙ্গে জড়িতদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মুহাম্মাদ
আহসান হাবীব জানান, এমপির সুপারিশ
পেয়েই প্রার্থী নিয়োগ চূড়ান্ত
করা হয়েছে । তবে স্বাক্ষর ও সিল জাল
বলে তার জানা ছিল না।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
ধনঞ্জয় কুমার সাথে যোগাযোগ
করা হলে তিনি জানান, সিল- স্বাক্ষর
জাল ও টাকা নেওয়া কথা সম্পূর্ন
অস্বীকার করেন। কমিটির সিদ্ধান্ত
নিয়ে দফতরি কাম প্রহরী নিয়োগ
দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন শামীম