গাইবান্ধায় ধর্ষণের অভিযোগে র্যাব
কর্মকর্তা গ্রেফতার ও শিবির
নেতা বহিস্কার
1.সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের
উত্তর ঘাগোয়া পন্ডিতপাড়া গ্রামের এক
পলিটেকনিক ছাত্রীকে ধর্ষণের
অভিযোগে র্যাব কর্মকর্তা পুলিশের সাব
ইন্সপেক্টর মনহার হোসেন (২৯)কে গতকাল
সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত র্যাব কর্মকর্তা মনহার
হোসেন গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার
ছোট দেওড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের
ছেলে।
বর্তমানে তিনি প্রেষণে খুলনা র্যাব-৬ এ
কর্মরত।
গাইবান্ধা সদর থানায় দায়েরকৃত
মামলা সুত্রে জানা গেছে, তিনবছর
আগে মনহার হোসেন ময়মনসিংহ
কোতয়ালি থানায় সাব ইন্সপেক্টর
হিসেবে কর্মরত থাকাকালে সেখানকার
পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের এক
ছাত্রী জেসমিন আকতার (২২) এর
সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই
একপর্যায়ে দেড় বছর আগে মনহার হোসেন
তার সাথে সম্পর্ক ছেদ করে অন্যত্র
বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তাদের ঘরে এক
পুত্র সন্তান আসে। এরপর মনহার হোসেন
পুনরায় ওই পলিটেকনিক ছাত্রীর
সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ
করে তার সাথে নতুন করে সম্পর্ক
গড়ে তোলেন।
একপর্যায়ে গত সপ্তাহে ওই পলিটেকনিক
ছাত্রী তাদের গাইবান্ধার উত্তর
ঘাগোয়ার পন্ডিতপাড়ার
বাড়িতে এলে খুলনায় র্যাব-৬ এর
কর্মকর্তা মনহার হোসেন খবর পেয়ে গত
রবিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধায় আসেন
এবং ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।
সেখানে পরদিন সোমবার তিনি র্যাবের
কষ্টকর পোষ্টিং বাতিলের জন্য উর্দ্ধতন
কর্তৃপক্ষকে ঘুষ দেয়ার কথা বলে ওই
ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চান।
ছাত্রীটি মনহার হোসেনের কথায়
বিশ্বাস করে বাবা জহির উদ্দিন
সরকারের সাথে কথা বলে তার
মা রশিদা বেগমকে টাকার জন্য
পার্শ্ববর্তী ফুলছড়ি উপজেলার
মদনেরপাড়ায় পাঠায়।
সোমবার রাতে বাড়িতে কোন লোকজন
না থাকার সুযোগে মনহার হোসেন ওই
ছাত্রীটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময়
ছাত্রীটির চিৎকারে আশেপাশের
লোকজন এগিয়ে আসে।
তারা মনহারকে আটক করে পুলিশের
হাতে তুলে দেয়। মনহার হোসেন
বর্তমানে গাইবান্ধা জেলহাজতে।
2.গাইবান্ধা জেলার
পলাশবাড়ী উপজেলায় জামালপুর গ্রামের
৬ষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়া ছাত্রীর
সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ড করায় দল
থেকে বহিষ্কার হলেন সাবেক শিবির
নেতা রুবেল মিয়া (২৬)।
সে পলাশবাড়ী সরকারী কলেজ শাখার
ছাত্র শিবিরের সাবেক সাধারণ
সম্পাদক।
বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী পলাশবাড়ী উপজেলা শাখার
সক্রীয় কর্মী। তবে গত ২ বছর আগে ছাত্র
শিবির
থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়েছে দলটি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন
ধরে একই গ্রামের আসিদুল ইসলামের ৬ষ্ঠ
শ্রেণীর পড়ুয়া মেয়ের
সঙ্গে গোপনে প্রেম সম্পর্ক
গড়ে তোলে রুবেল। মেয়েটিকে বিয়ের
প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল মিয়া নানাবিধ
অসামাজিক কর্মকান্ড করায় মেয়েটি এখন
সন্তান সম্ভাবনা। রুবেল মিয়ার এ
অনৈতিক কর্মকান্ডে এলাকায় চাঞ্চল্যের
সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু রুবেল মিয়ার
ঘরে বিবাহিত স্ত্রী থাকায় তার এমন
কর্মকান্ড এলাকার কেউই
মেনে নিতে পারছে না।
পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ
(ওসি) গোপাল চন্দ্র
চক্রবর্তী বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ
বিষয়ে পলাশবাড়ী থানায় নারী ও শিশু
নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের
হয়েছে।